মাটি মানুষ কিংবা অগ্নি জলবায়ু, মানুষ তাদের বিবেকবুদ্ধি দিয়ে সেগুলোর উপর বরাবরই নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। তন্মধ্যে কিছু মানুষ নিরলসভাবে তাদের নিজদের শ্রম ঘাম দিয়ে গেছেন বিনিময়ের আশা না করেই।
মনুষ্য সমাজে আরো একটি শ্রেণির বসবাস আছে যারা নিজেদের উদরপূর্তি করার জন্য সর্বক্ষেত্রেই সর্ব কাজে নিজেদেরকে এগিয়েই রাখে কাজ কিংবা সেটা হোক অকাজ।
আজকের এই লেখা মূলত হাওরের বেড়িবাঁধ প্রকল্পের শতকোটি টাকার বরাদ্দের পরেও, পাহাড়ি ঢলে পানির স্রোতে অনাদিকালের হৃদয় ভাঙ্গা কৃষকদের কথা নিয়ে।
হাওড় ডুবছে কৃষক মরছে,হাওর ডুবোপ্রায় কৃষক লড়ছে,হাওরবাসীর জন্য এযেনো একটি অমোঘ নিয়মে পরিনত হয়েছে।
এরই মধ্যে দৃষ্টিকটু কিছু বিষয় ও আছে অকাল বন্য অথবা এই স্বল্প পানির কথা মাথায় রেখেই নির্মিত এই বেড়িবাঁধ প্রকল্পের দায়িত্বে যারা ছিলো,ঐ একই ব্যাক্তীদের আমরা দেখি এধরণের দুর্যোগের সময়ে একদমই কাব্যিক পরিবর্তন।
ছায়ার হাওরের মানুষের সংগ্রামের ইতিহাস অনেক পুরনো, নেত্রকোনা এবং সুনামগঞ্জের কিছু জায়গা নিয়ে ঘটিত এই হাওরের কৃষকদের সংগ্রামী জীবন সিনেমাকেও হার মানাবে।
এই হাওরের যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় বরাবরই নেতৃত্ব দিয়ে আসছে কৃষ্ণপুর গ্রামের লোকজন।
তন্মদে কৃষ্ণপুর গ্রামের সবচেয়ে জনবহুল গোত্র মরহুম বিল্লাত আলী মুন্সি এবং তার ছেলেরা অন্যতম ছিলো। বর্তমানে হাওরের যে কোন দুর্যোগ মোকেবেলায় এই বংশের চতুর্থ প্রজন্ম নিজেদের সক্ষমতার প্রমান দিচ্ছে।
হাওরের প্রকৃত হিরো এই বংশের লোকেদের প্রচুর পরিমাণ ক্ষমতা নেই,কিন্তু হাওর রক্ষায় বীরদর্পে তাদের পদক্ষেপগুলো হাওরাঞ্চলে প্রশংসনীয় এবং তাদেরকে হাওরের সাহসী মানুষ হিসেবে গর্বিত করেছে ইতিমধ্যে।
লেখকঃ জলিল বিল্লা, আহবায়ক খালিয়াজুরী উপজেলা অনলাইন প্রেসক্লাব।